রঙমহলে আবদ্ধ চড়ুই
#রংমহলে_আবদ্ধ_চড়ুই
৪
#Writer_Neel_Noor
কেটে গেল দুই দিন। আজ বিকেলে, সাদিয়া আপু ও চলে গেছে।মনটা বড্ড খারাপ লাগছে। আলভি বাবাটার কথা বারবার মনে পড়ছে। মেয়েদের সাথে তার শশুর বাড়ি, এ যেন এক অদ্ভুত সম্পর্কের মধুরতা, যেখানে মেয়েরা বিয়ে হলে শশুর বাড়ির হয়ে যায়। বাবার বাড়ির নামমাত্র মেহমান হয়ে যায়। বড় একটা নিঃশ্বাস ফেলে বিরবির করে বললাম - বাবার বাড়িতে জন্ম যাহার_শশুর বাড়িতে শেষ!!
সন্ধ্যা হয়েছে সেই কবেই। মনে হচ্ছে, সময় পেরিয়েছে বহু আগে, এক লগ্ন অতিক্রম করে ফেলেছি। এখনো ছাদের উপরে দোলনাটায় বসে আছি। দোল খাচ্ছি, আর জীবনের হিসাব মিলাতে ব্যস্ত আমি। হঠাৎ কারোর আগমনের শব্দে একটু ধরফরিয়ে উঠলাম। বুকে এক দফা থুথু দিয়ে, পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি সমুদ্র ভাইয়া, দুহাত বুকের উপর ভাঁজ করে, দেওয়ালের সাথে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে.... খুব সুন্দর লাগছে তাকে। যেন এই ভঙ্গিমাটা শুধু তাকেই মানায়। মুখে একটু ক্লান্তির ছাপ দেখা যাচ্ছে, তবুও সৌন্দর্যের অন্য এক মাধুর্যতা তাহার চেহারায় ফুটে উঠেছে....
সমুদ্র - কিরে, এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন? যেভাবে দোলনায় বসে দোল খাচ্ছিস!! আবার, বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছিস, সন্ধ্যা বেলা ভূত পিচাশে ধরল না কি? তা, আমি আশা করি না, তোকে ভূত পিচাশে ধরবে, কারন তুই নিজেই তো একটা পেত্মী!! তাছাড়া আমি ভূত পিচাশ , পেত্মী সব ধরনের ভিমরিতী ছাড়াতে পারি.... ছাড়িয়ে দিব নাকি রে?
এমন কথা শুনলে, কোন মেয়ে ঠিকঠাক মতো বসে থাকতে পারে, আমার জানা নেই। আমি বসে থাকতে পারলাম না, দোলনা থেকে দাঁড়িয়ে পরলাম।
মূহুর্তে ই, তরতরিয়ে রাগ টা ৪২০ ভোল্টেজ বেড়ে গেল, জোরে জোরে চিল্লিয়ে বললাম - সালা, করল্লার বাচ্চা...মুখ খুললেই তিতা কথা বের হতে হয়। বড় চাচি কি আপনার মুখে জন্মের সময় মধু দেয় নাই!! আপনি পেত্মী, আপনার চৌদ্দ গোষ্ঠী পেত্মী.....না না পেত্মী তো মেয়েদের বলে, আপনি পেত্না !! তাহলে চৌদ্দ গোষ্ঠী ও পেত্না.....পিচাশ, রাক্ষস... ঘূর্ণিঝড় মহাসেন....(সাথে সাথে ই দুই হাত দিয়ে নিজের মুখ চেপে ধরলাম, হায় হায় কি বলে ফেললাম!! ধেৎ)
খুব রেগে তো কথা গুলো বলে ফেললাম, তবে এর পরিনতি তো হিসেব করি নাই। কোথায় ভাবছিলাম, এই সমুদ্র ভাইয়াকে আমি এড়িয়ে চলবো, এখন তো কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ বের করে ফেলেছি।এর মধ্যে ই সমুদ্র ভাইয়া আমার দিকে এগিয়ে এলো, ওনি এগোতেই আমি এক কদম পিছিয়ে গেলাম....
হঠাৎ, আমার মনকে মস্তিষ্ক সাহস দিচ্ছে, ভয় পেতে নেই, ঝিনুক !! ভয় কে জয় করতে হয়... শোনলে শুনছে!! ....
কিন্তু বিপরীতে মন মস্তিষ্কে জানান দিচ্ছে, একলা ছাদে বাঘের সামনে ছোট্ট একটি ছাগল ছানা!! আহ্ কি ভয়ংকর দৃশ্য!!
এর ই মধ্যে, ওনি আমার খুবই কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছেন, হয়তো আমাদের মাঝে এক হাত ফাঁকা আছে অথবা তার চেয়ে ও কম।
সমুদ্র - কি যেন বলছিলি? আমি একটু বয়রা টাইপের মানুষ, বেশি জোরে কথা বললে কানে কম শুনি। তুই হিসাব কষতে ভুল করেছিস মেয়ে, আমার চৌদ্দ গোষ্ঠীর তুইও একজন কিন্তু!!
শোন, মেয়ে !! তুই কি একটু আস্তে-আস্তে রয়ে-সয়ে আমাকে বলবি, কি যেন ঘূর্ণিঝড় মহাসেন বলেছিলি.....
একটু ভয়ে কাচুমাচু হয়ে গেলাম। কিছু না বললেও আড়চোখে তাকিয়ে মুখটা ভেংচে দিলাম। সব জেনে, শোনে ঢং করছে, ব্যাটা শয়তান!! তবে ভালো ই বুদ্ধিমান, দারুন হিসাব কষেছেন তো!! সত্যি ই তো আমিও তার গোষ্ঠীর একজন, এ সত্যি টা পশ্চিম কাল উল্টে গেলেও সত্যি ই থাকবে!! তার মানে ঘুরে ফিরে আমি প্রমাণ করলাম আমি পেত্মী!! ভাবা যায়, কতো বড় প্যাঁচ ধরেছে, ব্যাটা!! যাক_গে... এখন হেরে গেলে চলবে না....
হঠাৎ করেই সমুদ্র ভাইয়া হো হো করে হেসে উঠলো। ওনার হাসিতে আমি দুই ভ্রু কুঁচকে তার দিকে তাকালাম।
সমুদ্র - এই পিচ্চি শোন, কি এমন চিন্তা করছিস!! তোর মাথায় বুদ্ধি নেই, গোবর!! গোবর!! যেখানে, গোবরে পদ্মফুল ফুটা তো দূরের কথা, জংলি ফুল ও ফুটবে না....!! শোন, তার চেয়ে বরং এটা বল...তুই আমার সন্নিকটে আসলেই ভেজা বিড়ালনী হয়ে যাস কেন? ভয় পাস নাকি আমারে? তুই নাকি আমাকে ভয় পাস না, কিন্তু পিচ্চি মানুষ তো পিচ্চি ই...(আবার ও হো হো করে হেসে উঠলো)
তাঁর হাঁসি দেখে এবার সত্যিই আমার গাঁ পিত্তি জ্বলে উঠলো। সাহস নিয়ে বলেই ফেললাম - আমাকে মোটেও পিচ্চি ডাকবেন না, মিস্টার সমুদ্র শেখ!! নিজের দিকে তাকান, বুইড়া ব্যাটা!! বয়সের ভারে সব কিছু ই শেষের পথে....হু!!
সমুদ্র ভাইয়া হাঁসি থামিয়ে বলল- দেখ মেয়ে, আমি মোটেও বুইড়া না। বয়স মাত্র বত্রিশ, এটা ছেলেদের জন্য পার্ফেক্ট সময়, বিয়ে করে বাচ্চার বাপ হওয়ার। তাছাড়া, আমাকে দেখে হাজারো মেয়েরা ফিদা হয়ে যায়। ক্রাশ খায়। কত মেয়ের রাত ঘুম না হওয়ার কারন এই এমপি আব্রাহাম ফারহাদ সমুদ্র শেখ। আর তুই আমাকে বুইড়া ব্যাটা বলস....সাহস তো কম নয় তোর!!(চোখ গুলো বড় বড় করে, ভ্রু যুগল নাচিয়ে)
মাজায় হাত দিয়ে, মুখটা ভেঙচে বললাম - আসছে, হু। বুড়ো শালিক একটা। জানেন তো, পাকা বাঁশ ঠাস ঠাস করে বেশি....
সমুদ্র ভাইয়া হঠাৎ আমার দিকে ঝুঁকে পড়ল। এবার সত্যিই, ভয়ে চোখ দুটো বন্ধ করে ফেললাম। ঘাড়ে গরম নিঃশ্বাস পড়ছে, যা মূহুর্তের মধ্যে ই আমাকে কাঁপিয়ে তুলছে, এর মধ্যে ই সে ফিসফিস করে বলল- শোনো, পিচ্চি মেয়ে, একবার গভীরতায় হারিয়ে দেখো, আমার মধ্যে যৌবনের রস টস টস করছে!! কাঁচা বাঁশে যা পাবা না_তাহা পাকা বাঁশ অর্থাৎ, আমাতে পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করবা। চলো, একটু পরিক্ষা করি দুজনে....
কথাটা শুনে ই দুকদম পিছিয়ে গেলাম। কি সাংঘাতিক পুরুষ মানুষ। সম্পূর্ণ নির্লজ্জ, বেহায়া!! লাগামহীন মুখ তার, ঠোঁটে দুষ্টু হাসি.... মূহুর্তে ই লজ্জায় পড়ে গেলাম!! তার কি একটু ও ঠোঁটে বাঁধে না, এরকম বেসরম কথা বলতে....!!
সমুদ্র - একি, তুই যে দেখি লাল চেরিফুলের মতো!! আর গাল দুটো ও করছিস পাকা টমেটোর মতো!! হয়েছে কি, চড়ুই_বউ!! প্রেম ট্রেম পেয়েছে নাকি!! চল, রোমান্স করি, আমার আপত্তি নেই!! তোর এমন বেহাল দশা দেখে আমার তোকে এখনই খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে.....
চোখ দুটো বড় বড় হয়ে গেল। দুই হাত কানে ধরে রাখলাম। তবুও মনে হচ্ছে কান থেকে ধুঁয়া বের হচ্ছে। কথাগুলো মন সহ মস্তিষ্কের নিউরনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে তীরন্দাজ করছে। কি করব ভেবে না পেয়ে, সামনে ফাঁকা পেয়ে, আসতাগফিরুল্লা আসতাগফিরুল্লা বলেই দিলাম এক দৌড় ....কোন মতে এক প্রকার পালালাম... সমুদ্র ভাইয়ার চোখের আড়াল হয়েই বড় বড় দম নিচ্ছি!! এ কি আজব লোক রে বাবা... মূহুর্তে ই গন্ডগোল!! ইশ্, কথা গুলো কানে বাজছে এখনো, মস্তিষ্কে জট পাকাচ্ছে..... মনই মন তাকে খেতাব দিলাম মিস্টার. নির্লজ্জ!!
এদিকে, সমুদ্র তার চড়ুই_বউ এর কান্ড দেখে মুচকি মুচকি হাসছে। তার রংমহলের চড়ুই_বউ সবাইকে চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে বলে বেড়ায় , অষ্টাদশী গন্ডী পেরিয়েছে, বড় হয়ে গেছে অথচ কান্ড গুলো দেখো। রাইটার নীল নূর।
________
ঘন্টা খানেক পর রুম থেকে বের হয়েছি। এদিক সেদিক তাকাচ্ছি, আর হাঁটছি। কারন আজ আর সমুদ্র ভাইয়ার সামনে পরার ইচ্ছে নেই। ইশ্, কি লজ্জা, কি লজ্জা। এরকম সাংঘাতিক পুরুষ মানুষের থেকে দূরে দূরে থাকাটাই ব্যাটার, বুদ্ধিমানের কাজ!!
আমি রাতের খাবার খেতে বসলাম। অবশেষে জানলাম, সমুদ্র ভাইয়া বাসায় নেই। সন্ধ্যায় কি যেন জরুরি কাজের জন্য বাসায় এসেছিল, কাজ শেষে, সন্ধ্যার নাস্তা খেয়ে আবারো চলে গেছে।
রাতের খাবার খেয়ে, রুমের দিকে হাঁটলাম। কিন্তু হঠাৎ পা দুটো বাবার রুমের সামনে থেমে গেল। পরিচিত কন্ঠস্বর শুনা যাচ্ছে। বাবার রুমে উঁকি দিলাম। বাবা বেডে শুয়ে শুয়ে টিভির নিউজ দেখছে। আমি ধীরে ধীরে রুমের ভেতরে ঢুকলাম। বাবা আমাকে দেখে একটা স্নিগ্ধ হেঁসে, তার পাশে বসার জন্য ইশারা দিলো....
আমি বাবার পাশে গিয়ে বসলাম। টিভিতে তাকাতেই, চমকে উঠলাম। কারন, টিভিতে সমুদ্র ভাইয়ার লাইভ টকশো চলছে। যেখানে, তাকে এটা সেটা জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে। ওনি ও বিজ্ঞ মানুষের মতো সবকিছু সুন্দর ভাবে উত্তর দিচ্ছেন। কি সুন্দর!! সব কিছু এতো সুন্দর করে যে তিনি হেন্ডেল করতে জানেন, সত্যিই আমাকে মুগ্ধ করলো। এক পর্যায়ে, ভাষ্যকারের এক প্রশ্নে আমি বিদ্যুতের ঝটকা খেলাম!! হেলে দুলে বিছানায় ঠিক মতো বসলাম!!
ভাষ্যকার - মিস্টার. আব্রাহাম ফারহাদ সমুদ্র শেখ!! নামের মতোই আপনার ক্যারিয়ার উজ্জ্বল। বলা হয়ে থাকে না, বরং সত্যি ই ইয়ং জেনারেশনের মাঝে আপনি আইডল!! আপনার কাজ কর্মে জনগণ মুগ্ধ!! ইয়ং জেনারেশন তা ফলো করে। তবে আমার সহ, জনগণের একটি প্রশ্ন নেট দুনিয়ায় উত্তাল!! দুদিন আগেই, একটা ভিডিও নিউজ ফিডে বারবার দেখাচ্ছিল, ত্রিশ সেকেন্ডের একটি ভিডিও তে, আপনার রক্ত ভরা হাত একটি মেয়ের হাত ধরে রেখেছে। আর, আপনি সহ মেয়েটি গাড়িতে উঠছেন!! তাছাড়া ও, নিউজ চ্যানেলের হেডলাইন ছিল," ইয়ং জেনারেশনের আইডল, এমপি আব্রাহাম ফারহাদ সমুদ্র শেখ শহরের নামকরা রেস্টুরেন্টে নিজের কনট্রোল হারিয়ে ভাঙচুর করেছে। তার সঙ্গে এক সুন্দরী রমণীকে ও দেখা গেছে।"
আমার প্রশ্ন, রেস্টুরেন্টে কি হয়েছিল? মেয়েটি কে? আপনার হাতে রক্ত কার ছিল? তাছাড়া, আপনার মতো এমন একজন নেতা যদি পাবলিক প্লেসে কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলেন, তাহলে সাধারণ মানুষের মধ্যে.....!!
(সমুদ্র ভাইয়া তাকে হাতের ইশারায় থামতে বললেন, ঠোঁটে মুচকি হাসি রেখে, শীতল চোখে তার দিকে তাকিয়ে আছেন, ক্যামেরা ম্যান ও ফোকাস টা সমুদ্র ভাইয়ার দিকে করে রেখেছে... এমন অবস্থায় কীভাবে সে এতো শান্ত আছেন!!)
আমি উত্তেজিত হয়ে পড়লাম, সমুদ্র ভাইয়া এটা সামাল দিবে কি করে। আমি, মোবাইলে দেখেছি, ঘটনাটা নেট দুনিয়ায় কত্তো রঙের রঙ ছড়িয়েছে। কেউ, কেউ তো নেগেটিভ কথা ও বলছে। আমাদের ঘরে ও এগুলো নিয়ে বাবা চাচারা কথা বলছিল। কিন্তু সমুদ্র ভাইয়া, নীরব দর্শকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, যেন কিছুই হয় নাই। নিত্যান্ত ই দুধভাতের ন্যায়!!
আমি বাবার দিকে তাকালাম, বাবা এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে। মুখে কোন চিন্তা নেই, যেন এমন কিছু ই হয় নাই!! সমুদ্র ভাইয়ার জন্য এগুলো দুধ ভাত!! খুব গভীর মনোযোগ, সমুদ্র ভাইয়া কি বলবে, এটা শোনাই যেন তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখন....
আমি আবারও টিভির দিকে চোখ রাখলাম। মাথায় হাজারো কথার ঝুলি ঘুরছে। আমি জানি, সমুদ্র ভাইয়া বিচক্ষণ, বুদ্ধিমান!! আমিও দেখেছি, এমন কত টকশো তে, তাকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করলেও, সে দারুন ভাবে সব হেন্ডেল করেছেন।
কিন্তু এবারের ঘটনাটি ভিন্ন। কাহিনী তে, ভিন্ন প্রেক্ষাপট!! যেখানে, এক টুকরো ছোট্ট একটি ভিডিও তে, মানুষের ইতিবাচক নৈতিবাচক মন্তব্য জড়িয়ে আছে। সেখানে, এই টপিক টি সামাল দেওয়া দাঁতে দাঁত চেপে পাহাড়, সমুদ্র-সৈকত না না আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেওয়ার সমান!!ভিডিও টি ত্রিশ সেকেন্ডের কম সময়ের ... যেখানে,
" সমুদ্র ভাইয়া একটা মেয়েকে(আমাকে)রেস্টুরেন্ট থেকে টেনে গাড়িতে উঠাচ্ছেন, আর তার হাত ভর্তি রক্ত!! গড়িটি শো শো করে ঝড়ের গতিতে চলে যাচ্ছে।"
যদিও, ভিডিও টি তে, আমার চেহারা দেখা যায় নাই, আর রেস্টুরেন্টের ভেতরের কাহিনী কেউ ভিডিও করতে পারে নাই!! তবুও, এখানে তো আমি ও জড়িয়ে আছি। সমুদ্র ভাইয়া কি আমাকে নিয়ে কথা বলবে? আমি কি এই টকশোর রংমহলে জড়িয়ে যাব?
চলবে.....
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন